খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব পশু মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা।
Published : 11 Dec 2023, 08:14 PM
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে ‘অজ্ঞাত রোগে’ এক খামারির ৩৫টি গরু ও একটি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। মুখে ঘাসহ লালা আসার পর এসব পশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন খামারি।
খামারটিতে এ রোগে আক্রান্ত আরও কিছু গরু মৃত্যু ঝুঁকিতে আছে বলে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওসমান গনি জানিয়েছেন।
খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব পশু মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন এ চিকিৎসক। এদিকে একসঙ্গে এত গবাদিপশুর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় খামারিরা।
উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর ঘোষপাড়ার বাসিন্দা গোপাল ঘোষের দুগ্ধ খামারে এসব গরুর মৃত্যু হয়েছে। খামারে ছোট-বড় মিলে ১২৫টি গরু ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৩৫টি গরু ও একটি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
খামারি গোপাল ঘোষ জানান, বৃহস্পতিবার খামারে হঠাৎ বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ্ হয়ে পড়ে। এরপর রাত থেকে গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়ার শুরু হয়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক গরুর মারা যেতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা গোপল ঘোষ এখন বেচে থাকা গরুর জীবন রক্ষায় প্রাণী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহায়তা চেয়েছেন।
খবর পেয়ে শনিবার বিকাল থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ ভেটেরিনারি সার্জনের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পশুগুলোর চিকিৎসা দিচ্ছেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওসমান গনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে পশুগুলো মারা গেছে। তবে মৃত গরুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা থেকে আরেকটি বিশেষজ্ঞ টিম আসছে নমুনা সংগ্রহ করতে; প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
খামারটি হাইজনিক নয় উল্লেখ তিনি আরও বলেন, খামারে ধারণ ক্ষমতার অধিক গরু গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত কয়েকটি গরুর মৃত্যুর পর তাদের জানানো হয়েছে।
বর্তমানে খামারটিতে আরও বেশ কিছু গরু আক্রান্ত আছে; তবে বেশির ভাগই ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান।