নবজাতকটিকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠলেও তার বাবা তা অস্বীকার করেছেন।
Published : 18 Feb 2024, 08:40 PM
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জন্মের পাঁচ ঘণ্টার মাথায় দত্তক দেওয়া এক নবজাতককে পরিবারের কাছে ফেরানো হয়েছে ।
শনিবার রাতে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবজাতকটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার ভোরে ওই ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের পাথর শ্রমিক শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর নবজাতকের নাম রাখা হয় মুক্তি।
মুক্তি শফিকুল-মরিয়ম দম্পতির পঞ্চম সন্তান।
প্রশাসন জানায়, জন্মের ৫ ঘণ্টার মাথায় প্রতিবেশী লাকী-আলমগীর দম্পতির কাছে শিশুটিকে দত্তক দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, ২০ হাজার টাকায় কন্যা মুক্তিকে বিক্রি করেছেন বাবা শফিকুল ইসলাম।
বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসন তৎপর হয়। পরে ওই রাতেই উপজেলা প্রশাসন মুক্তিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, “টাকা নিয়ে আমার সন্তানকে আমি বিক্রি করি নাই। অভাবের সংসারে এতগুলো সন্তানের ভরণ-পোষণ করতে পারব না বলে দত্তক দিয়েছিলাম। যাতে আমার সন্তানরা অন্যের কাছে ভালো থাকে।
এর আগে তার আরেক মেয়েকেও দত্তক দিয়েছিলেন বলে জানান, শফিকুল।
এখন মুক্তিকে ফিরে পেয়ে খুশি হলেও এতোগুলো ছোট ছোট সন্তানের ভরণ-পোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “ওই দম্পতি এমন ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। তাই তাদের সতর্ক করা হয়েছে ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে, যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটায় পরিবারটি।”
এ ছাড়া পরিবারটিকে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক।