“এখন থেকে বাদীর আর কোনো দায়িত্ব নেই। শিমুল হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে দ্রুত হয়, সেই চেষ্টা আমি নিজে করব।”
Published : 03 Feb 2024, 11:49 PM
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিক ও স্বজনরা। আর এ দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম।
শিমুলের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দুপুরে শাহজাদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত স্মরণ সভায় এ দাবি করা হয়।
এ সময় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম বলেন, “সাত বছর আগে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন সাংবাদিককে
খুন করা হল, অথচ তার বিচার এখনও হয়নি। শিমুলের পরিবারের কাছে অনুরোধ, মামলার নথিপত্র আমার কাছে হস্তান্তর করুন।
“এখন থেকে বাদীর আর কোনো দায়িত্ব নেই। শিমুল হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে দ্রুত হয়, সেই চেষ্টা আমি নিজে করব।”
শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুণ্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ লাভলু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ, সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম খান রানা, প্রয়াত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী বেগম নুরুন্নাহার খাতুন, মামা হাজী আব্দুল মজিদ, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক ও মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা।
এর আগে প্রেসক্লাব চত্বরে শিমুলের প্রতিকৃতিত্বে সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, শাহজাদপুর প্রেসক্লাব, সমকাল পরিবার, শিমুলের পরিবারে ও সমহকর্মীরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সাংবাদিকরা পৌর শহরে শোক র্যালি করেন।
শুক্রবার বাদ জুম্মা শিমুলের গ্রামের বাড়ি পোতাজিয়া ইউনিয়ের মাদলা গ্রামে দোয়া মহাফিলের আয়োজন করেন স্বজনরা।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রয়ারি শাহজাদপুরে ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মারধর করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল শটগানের গুলিতে আহত হন। এরপর প্রথমে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরেরদিন সকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ হত্যাকাণ্ডের পর তার স্ত্রী বেগম নুরুন্নাহার খাতুন শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।