শাল্লার স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদনে এই শিক্ষককে স্কুল থেকে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2023, 05:41 PM
Updated : 17 April 2023, 05:41 PM

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি।  

অভিযোগের তদন্তে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ না মিললেও গাফিলতি ও পাঠদান প্রক্রিয়ায় ত্রুটির তথ্য মিলেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিবেদনে এই শিক্ষককে ওই স্কুল থেকে বদলির সুপারিশও করা হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সত্যব্রত তালুকদার শিক্ষক লিটন চন্দ্র তালুকদারের নানা অভিযোগের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তা ও দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগে বলা হয়, লিটন চন্দ্র তালুকদার শাল্লা উপজেলার সুধন খল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭ বছর ধরে কর্মরত। তিনি নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করেন; প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেনও না। সপ্তাহে দু-একদিন এসে পাঠদানের সময় এলাকার বিভিন্ন জনের বাড়িতে গিয়ে গল্পে মেতে ওঠেন। সহকারী শিক্ষকদের পাঠদান বিষয়ে খোঁজখবর নেন না। ফলে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান তলানিতে পৌঁছেছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে আশঙ্কাজনক হারে।

এছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র তালুকদারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগকারী বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সত্যব্রত তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্তের পর সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব জামান জানুয়ারি মাসে দেওয়া প্রতিবেদনে লিটন চন্দ্র তালুকদারকে বদলির সুপারিশ করেছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লিটন চন্দ্র তালুকদার দীর্ঘদিন এখানে কর্মরত থাকায় এলাকায় একটি বলয় তৈরি করে একটি পক্ষকে তিনি পক্ষে রেখে অপরপক্ষকে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন। এতে বিদ্যালয় পরিচালনায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।

প্রতিবেদনে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির সত্যতা মেলেনি; তবে প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি রয়েছে এবং পাঠদান প্রক্রিয়া ও হোম ভিজিটের ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুধন খল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র তালুকদার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সম্পর্কে বলেন, “এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। তিনি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকায় ভাগ চেয়েছিলেন, আমি দিতে সম্মত হইনি বলে তিনি এসব করছেন।”

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সত্যব্রত তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি দীর্ঘদিন ধরে সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না; এখনও এ রকম চলছে। স্কুলের ফান্ডের টাকা নয়ছয় করছেন প্রধান শিক্ষক।

তিনি আরও বলেন, “সারা গ্রামবাসী জানেন আমাদের বিষয়ে। আমি বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়াতে প্রধান শিক্ষক এসব কথা বলছেন।”