“আমার জন্য রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হয় এমন কাজ করব না। তাই নির্বাচনে অনিয়ম হলেও তা মেনে নিয়েছি।”
Published : 06 Feb 2024, 08:00 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ; কারণ সাধারণ জনগণ এমন নির্বাচন আশা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “জনগণ কেন্দ্রে ভোট দিতে যাননি। তাই নির্বাচনের পর থেকেই এ সরকার চরম অস্বস্তিতে রয়েছে।”
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমি যদি সত্যিকারের হেরে গিয়ে থাকি তাহলে বঙ্গবন্ধু হেরে গিয়েছেন। জাতি যদি মনে করে, মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না, দেশ স্বাধীন চাই না, তাহলে বলব আমি হেরে গেছি আর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হেরে গিয়েছেন।”
তার নির্বাচনি এলাকা টাঙ্গাইল-৮ আসনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এক চোরের বিচার আরেক চোরের কাছে দিয়ে কী হবে? আমার জন্য রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হয় এমন কাজ আমি করব না। তাই নির্বাচনে অনিয়ম হলেও তা মেনে নিয়েছি।”
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, “সখিপুর ও বাসাইলে ২৯ থেকে ৩০ হাজার ভোট চুরি করা হয়েছে। ডিউটিতে ছিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা, তারা চুরি করেছে, জাতি তাদের কাছ থেকে কী শিখবে? জাতি খুব অসহায় হয়ে পড়েছে এদের হাতে।”
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন খারাপ হয়েছে। সংসদ আছে সংসদ সদস্যের কোনো মর্যাদা নেই। রাজনীতি আছে নেতাদের মূল্যায়ন নেই, যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচন মেনে নিল কী নিল না সেইটা দেখার বিষয় না। আমার দেশের মানুষ খুশি হলো কিনা এইটা বড় বিষয়। আমি জানি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি ও মানুষ খুশি না।
“এই সংসদ চলে না; তবে জোর করে চালাচ্ছে। যেভাবে নির্বাচন করছে এই সরকার এভাবে কেন্দ্রে ভোট দিতে মানুষ যাবে না। মানুষের অনীহা চলে এসেছে কেন্দ্রে না যাওয়ার।”
এ সময় টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেক হোসেন হিটলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ ও জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান সাদেকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।