নিজে বেঁচে যাওয়া রবিন ট্রেন থেকে বেরিয়ে অনেককে উদ্ধারে সহায়তাও করেন।
Published : 23 Oct 2023, 09:52 PM
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহতা উঠে এসেছে এক যাত্রীর বর্ণনায়।
রবিন নামের ওই যাত্রী যাচ্ছিলেন ঢাকায়। কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগার সিন্ধুর এক্সপ্রেস ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ার পরপরই ঘটে দুর্ঘটনা।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কনটেইনার ট্রেন ক্রসিং লাইনে এগার সিন্ধুর এক্সপ্রেসের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয়।
রবিন বলেন, “ট্রেনের তৃতীয় বগিতে ছিলাম, ট্রেন ছাড়ার দুই মিনিট হইছে, তখনও গতি ওঠেনি, এর মধ্যে বিশাল এক ঝাঁকুনি। আল্লাহ আল্লাহ করে কোনো মতে বের হয়ে দেখি- সামনের দুইটি বগি উল্টে পড়ে আছে।
“রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ বগিগুলো থেকে বের হচ্ছে। অনেকের হাত কাটা, কারো মাথা ফাটা, কারো পা কাটা।”
সোমবার বিকাল পৌনে ৪টায় এ দুর্ঘটনায় ১৭ জনের প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
নিজে বেঁচে যাওয়া রবিন ট্রেন থেকে বেরিয়ে অনেককে উদ্ধারে সহায়তাও করেন।
“এর মধ্যে আমার এক বন্ধুকে খুঁজে পাচ্ছি না। পরে তাকে পা কাটা অবস্থায় পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসি।”
আহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জনকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়; সেখানে থেকে গুরুতর ২১ জনকে ঢাকাসহ আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:
ভৈরবে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: ৩ জন বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি