ঝিনাইদহে ১০ মিনিটের ঝড়ে ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

“শিলের আঘাতে অর্ধশত বাগানের অর্ধেকেরও বেশি আম ঝরে পড়েছে; বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর।”

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2023, 10:29 AM
Updated : 27 April 2023, 10:29 AM

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ১০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ধান, কলা, ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার রাতে শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার দত্তনগর কৃষি ফার্মসহ অন্তত ৩০টি গ্রামের এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমির বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা জানান।

কৃষকদের বরাতে ইয়াসমিন সুলতানা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হালকা বাতাস শুরু হয়। ধীরে ধীরে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রথমে বৃষ্টি এবং পরে শিলাবৃষ্টিতে রুপ নেয়।

শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার দত্তনগর ধানের বীজ উৎপাদন খামার, করিঞ্চা, বৈচিতলা, বেগমপুর, নওদাগা, বোয়ালিয়া, নস্তি, পাতিবিলা, স্বরূপপুর, কুশাডাঙ্গা, কুসুমপুর, আজমপুর, মদনপুর, গোপালপুর, রামচন্দ্রপুর, গাড়াবাড়িয়াড় আলামপুরসহ অন্তত ৩০টি গ্রামের উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

“শিলাবৃষ্টিতে শীষ থেকে ধান ঝরে ক্ষেতে শুধু গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। জমিতে ধান ছড়িয়ে রয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে পাট, কলাসহ অন্যান্য ফসল।

“শিলের আঘাতে অর্ধশত আম বাগানের অর্ধেকেরও বেশি আম ঝরে পড়েছে। অনেক জমিতে কেটে রাখা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর।”

গাড়াবাড়িয়া গ্রামের চাষি আসলাম হোসেন বলেন, “তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

“কয়েক দিন পরেই ধান কাটা পড়তো। একর প্রতি ৭৫ মণ ধানের আশা করেছিলাম। এখন পাঁচ মণ ধানও পাব না।“

গোপালপুর গ্রামের কৃষক প্রল্লাদ কুমার দাস বলেন, “৩০ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম। ধানও ভাল হয়েছিল।

“ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান প্রায় সব পড়ে গেছে। মাত্র ৮-১০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল।”

কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, ঝড়ে কম বেশি সব ক্ষেতেরই ক্ষতি হয়েছে।

ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হবে।