ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহদাৎ হোসেন ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুদক কমিশনের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থাপিত ৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ এবং জেলা পরিষদের একটি প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বাকি ৭৪টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও অর্থ অর্জনের অভিযোগ প্রথামিক অনুসন্ধানে প্রমাণ হওয়ায় কমিশন এই নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদক উপ-পরিচালক রেজাউল করিমের স্বাক্ষরে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
দুদকের ফরিদপুর কার্যালয় থেকে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন এর আগে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময় রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নিজের ও স্ত্রীর এবং আত্মীয় স্বজনের নামে ও বেনামে অবৈধভাবে সম্পদ ও বিপুল অর্থ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় দুদকের অনুসন্ধানে।
তার পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদ বিবরণী দাখিলের এই নির্দেশ দেয় দুদক।
চিঠি পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত আকারে দুদককে সম্পদ বিবরণী দিতে বলা হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করিলে দুদক আইনে মামলা দায়ের করা হতে পারে বলে দুদকের ফরিদপুর কার্যালয় উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “চিঠি পেয়েছি। আমি চেষ্টা করছি সঠিকভাবে আমার বক্তব্য তুলে ধরেতে। আশা রাখি কোনো সমস্যা হবে না।”