মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “এখানে অন্য অনেক প্রার্থী রয়েছেন। কে কাকে হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই।”
Published : 16 Dec 2023, 10:38 PM
চাঁদপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান।
শনিবার দুপুরে মতলব উত্তরের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসফাক দাবি করেন, এতে তার ১৫ সমর্থক আহত হয়েছেন।
তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “এখানে অন্য অনেক প্রার্থী রয়েছেন। কে কাকে হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই।”
মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক আহসান বলেন, “প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই আমার লোকজনের ওপর হুমকি-ধমকিসহ মারধর করে আসছিলেন মায়া চৌধুরীর লোকজন। এ নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও থামেনি হামলা ও নির্যাতন।
“শুক্র ও শনিবার নেতা-কর্মীরা আমার বাসায় আসার পথে নৌকার লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
“এতে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম, মতলব উত্তর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান শান্ত, আরাফাত হোসেন নিপু, রিহান, তাহসিন, মুরাদ ও শান্ত সরকারসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতদের চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে মতলব উত্তর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নৌকার সমর্থক সোবহান সরকার শুভা, মেহেদী হাসান কাজল, কামরুল, খোরশেদ আলম অপু, হোসেন প্রমাণিক, বাবু প্রমাণিকসহ ২৫-৩০ জন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ইসফাক আহসান।
তিনি বলেন, “নেতাকর্মীদের ওপর এমন হামলার ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা সন্ত্রস্ত। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আজকের ঘটনায় আমি আবারও লিখিত অভিযোগ জানাব কর্তৃপক্ষের কাছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানাই।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, “এখানে অন্য অনেক প্রার্থী রয়েছে। কে কাকে হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই।”
মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি।”
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নৌকা প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে ৪ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা চায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে মায়া চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন।