উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, “প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
Published : 01 Mar 2023, 06:57 PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দলের কর্মীকে হলছাড়া করা এবং হুমকি দেওয়ায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
একই ঘটনায় আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকে হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যিনি অবৈধভাবে হলে থাকতেন।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
বহিষ্কৃতরা হলেন শাহপরাণ হলের আবাসিক ছাত্র ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন পিয়াস ও সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান।
এ ছাড়া আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইফতেখার আহমেদ রানাকে।
এর মধ্যে ইফতেখার আহমেদ রানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ভর্তি ছাড়াই অবৈধভাবে থাকছিলেন।
তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে শাহপরাণ হলে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারী ও গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনকে হল থেকে বের করে দেয় একই নেতার ১০ থেকে ১৫ অনুসারী।
ওই ঘটনায় গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগ কর্মী দেলোয়ার হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
এতে দেলোয়ার উল্লেখ করেন, তিনি শাহপরাণ হলের ২৩৯ নম্বর কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সুমন মিয়ার অনুসারী সাদ্দাম হোসেন পিয়াসের নেতৃত্বে ইফতেখার আহমেদ রানা, আশিকুরসহ প্রায় ১৫ জন মিলে তাকে হুমকি দিয়ে হল থেকে বের করে দেয়।
এরপর তিনি গত সোমবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ হলে ওঠেন বলে জানান শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান।
ওই সময় মিজানুর রহমান খান বলেছিলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে; প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর দুই দিনের মধ্যে জড়িত তিনজনের বিরুদ্ধে শাস্তির এ সিদ্ধান্ত এল।
এ ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগ নেতা সুমন মিয়াকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
বহিষ্কারের বিষয়ে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মজিানুর রহমান খান বলেন, “একটি চিঠি পেয়েছি। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এজেডএম মঞ্জুর রশিদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইন্সটিটিউিট অব ইফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেইশন টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক আহসান হাবীব, বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুজ্জামান ভূঁইয়া।