তিনি বলেন, “ক্ষমতার জোরে, বুলেটের জোরে, টিয়ার গ্যাস দিয়ে, গ্রেনেড মেরে বিরোধীদলের মুখ স্তব্ধ করে রাখার প্রয়াস নেওয়া হলেও তাদের দুরাশা সফল হবে না।”
Published : 31 Mar 2024, 08:45 PM
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেছেন, “আজকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি, আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ফিরে আসুক। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসুক। মানবাধিকার ফিরে আসুক। নারীর অধিকার ফিরে আসুক। শিশুর অধিকার ফিরে আসুক। এটাই হচ্ছে বিএনপির প্রত্যাশা।”
রোববার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে নাশকতা ও ভাঙচুর মামলার গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুবরণ করা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান হিরার স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি হিরার কবর জিয়ারত করেন। এরপর তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আসাদুজ্জামান খান হিরা গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে গিয়েছিলেন হিরা খান। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় শ্রীপুর রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। পরে শ্রীপুর থানার নাশকতা ও ভাঙচুর মামলার আসামি হিসেবে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হিরার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে মঈন খান বলেন, “এই সরকার মুখে বলে, তারা স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি। তারা যদি স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি হত, তাহলে কেন তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে? কেন তারা বাংলাদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে, কেন তারা বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করেছে?
“কাজেই সরকারকে বুঝতে হবে, ক্ষমতার জোরে, বুলেটের জোরে, টিয়ার গ্যাস দিয়ে, গ্রেনেড মেরে বিরোধীদলের মুখ স্তব্ধ করে রাখার প্রয়াস নেওয়া হলেও তাদের দুরাশা সফল হবে না।”
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুল আলম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মোতালিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান টিটু, কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমদাদ মোড়ল, মোক্তারুল করিম শামীম, সাইফুল হক মোল্লা, আবুল হোসেন প্রধান ছিলেন।