দুই ব্যবসায়ী যে টাকা নিয়েছেন, তার মধ্যে কিছু পরিশোধ করেছেন।
Published : 04 Feb 2024, 05:16 PM
ভুয়া এলসি খুলে ৮৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রূপালী ব্যাংক খুলনার শামস ভবন করপোরেট শাখার দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পাওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার তাজউদ্দিন আহমেদ। ব্যাংক টাকা আদায়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান এই ব্যাংক কর্মকর্তা।
বরখাস্তরা হলেন, ওই শাখার উপমহাব্যবস্থাপক জাকির ইবনে বোরক ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরাদ হোসেন।
রূপালী ব্যাংকের ওই শাখার বর্তমান উপ-মহাব্যবস্থাপক বিলকিস বেগম বলেন, ব্যাংকের বৈদেশিক ঋণ শাখায় অনিয়ম ধরা পড়ায় প্রধান কার্যালয় থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কীভাবে এত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংক খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রূপালী ব্যাংকের শামস বিল্ডিং শাখার মাধ্যমে মেসার্স প্রিয়াম ফিস এক্সপোর্ট ও মেসার্স বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্ট বছরে ১৬০ থেকে ১৮০ কোটি টাকার মাছ রফতানি করে আসছিল।
এর মধ্যে উপ-মহাব্যবস্থাপক জাকির ইবনে বারাক ও ফরেন এক্সচেঞ্জের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরাদ হোসেনের যোগসাজশে প্রিয়াম ফিসের নামে ৩২টি এলসি খুলে ৫৬ কোটি এবং বায়োনিক সি ফুডের নামে ২১টি এলসি খুলে ২৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তবে দুই ব্যবসায়ী যে টাকা নিয়েছেন, তার মধ্যে কিছু পরিশোধ করেছেন।
এ ব্যাপারে মেসার্স প্রিয়াম ফিস এক্সপোর্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শেখ মো. আব্দুল কাদের বলেন, “টাকা লেনদেন একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু টাকা ব্যাংককে ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকাও ফেরত দেব।”
মেসার্স বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্ট লিমিটেডের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানতে চাওয়া হলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাব্যবস্থাপক জাকির ইবনে বারাক বলেন, “এমডি অফিস থেকে বরখাস্তের আদেশ এসেছে। আমি বর্তমানে জিএম অফিসে সংযুক্ত রয়েছি।”
তবে টাকা আত্মসাতের বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]