পুলিশ সুপার বলেন, “যেহেতু ভোট দেওয়ার ভিডিও করা ও আপলোড করা দুটোই অপরাধ ফলে যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং তাকে চালান দেওয়া হবে।”
Published : 08 May 2024, 06:22 PM
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
উপজেলা দেওপাড়া ইউনিয়নের মনিগ্রামের নিমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান।
আটক ব্যক্তির নাম হামিম হোসেন।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, “ভোটকক্ষে ঢুকে ভোট প্রদানের ভিডিও ধারণ করা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা দুটোই অপরাধ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”
পুলিশ জানায়, দুপুর ২টায় এমডি হামিম হোসেন এসপি নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে ভোট দেওয়ার ভিডিওটি আপলোড করা হয়।
৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক কথা বলে বলে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনটি ভোট দিচ্ছেন। তিনি তিনটি আলাদা ব্যালট পেপারে সিল দেন। চেয়ারম্যান পদে বেলাল উদ্দিন সোহেলের দোয়াত-কলম মার্কায় সিল মারতে দেখা যায়।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিলের দাবি জানান।
তিনি বলেন, “একজন ভোটার ভোটকক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যান পদের তিনটা ব্যালট পেপারে সিল মারাটা জাল ভোট। এটা দেওপাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ঘটেছে। তাই দেওপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
এ সময় জেলা প্রশাসক শামীম আহমদ বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানিয়েছেন, তিনি কৌতুহল বশত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দেখানোর জন্য এটা করেছেন। তারা তিন বন্ধু গিয়ে ভোট দিয়ে ভিডিও করেছেন এবং আপলোড দিয়েছেন। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।
“যদি এটা জাল ভোট হয় তবে ওই কেন্দ্রের ফলাফল গণণার সময় সেটা বাদ দেওয়া হবে।”
পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, “যেহেতু ভোট দেওয়ার ভিডিও করা ও আপলোড করা দুটোই অপরাধ ফলে যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং তাকে চালান দেওয়া হবে।”