আইনি প্রক্রিয়া শেষে তক্ষকগুলো বন্য পরিবেশে অবমুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ডিসি।
Published : 17 Jan 2024, 07:49 PM
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেট লাগানো একটি বাক্স থেকে তিনটি তক্ষকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, তারা সবাই পাচারকারি।
বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (ডিসি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মোজাম্মেল হক মজনু, মো. আবুল কাশেম, মো. মোর্শেদ আলম, মো. রিয়াজুল ইসলাম লেবু এবং মো. শাহ্ আলম। তারা ওই উপজেলার কচাকাটা থানার বলদিয়া ও পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার আল আসাদ বলেন, খবর পেয়ে বুধবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের পালপাড়া এলাকার মো. পনির উদ্দিনের ঘরে নেট লাগানো একটি বাক্স থেকে তক্ষকগুলো উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এ সময় পাঁচ পাচারকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এটির বৈজ্ঞানিক নাম গেকো গেকো (Gekko gecko)। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তক্ষকগুলো বন্য পরিবেশে অবমুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কালোবাজারে তক্ষকের উচ্চমূল্য হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ থেকে চোরাই পথে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে এগুলো নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানান ডিসি।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ বা আইইউসিএনের লাল তালিকায় তক্ষককে রাখা হয়েছে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ ক্যাটাগরিতে। এর মানে হল, এই প্রাণীর প্রজাতি সবচেয়ে কম বিপদগ্রস্ত; সহজেই দেখা যায় ও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত রয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ সুপার।