গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভালো ভোট হলেও কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
তবে ভোটাররা এই চাপে সাড়া দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার কয়েকটি গাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান।
এরই এক পর্যায়ে দুপুর পৌনে ১২টায় গাজীপুর চৌরাস্তায় চান্দনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসে জাহাঙ্গীর বলেন, “লোকজন উৎসাহ নিয়ে ভোট দিতে আসছে। এখন পর্যন্ত ভোট ভালো হচ্ছে। তবে কোনো কোনো কেন্দ্রে বুথের মধ্যে ঢুকে লোকজনকে ‘খান সাহেবের’ (আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান) মার্কায় ভোট দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।”
কতটি কেন্দ্র থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ ১০-১২টি কেন্দ্র তো হবেই। তবে ভোটাররা আমাকে বলেছেন, বুথের মধ্যেই তারা সেইসব লোকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারা নিজেদের পছন্দমতো মার্কাতেই ভোট দেবেন।”
জাহাঙ্গীর আসার কিছুক্ষণ আগে, চান্দনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেটে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা স্লোগান দিলে ভেতর থেকে পুলিশ ও বিজিবি মারমুখী হয়ে ছুটে আসে।
জাহাঙ্গীর যতক্ষণ এই কেন্দ্রের ফটকে অবস্থান কিরেন, ততক্ষণ থেমে থেমে তার সমর্থকরা স্লোগান দিয়েছেন। তখন অবশ্য পুলিশ ও বিজিবি নিশ্চুপই ছিল।
সেখানে জাহাঙ্গীর ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই ভোট মায়ের ভোট। যে কোনো মূল্যে মাকে জেতাতে হবে, তাহলেই এই শহর রক্ষা পাবে।”
নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে এবার তৃতীয়বারের মতো ভোট দিচ্ছেন এই সিটি করপোরেশনের ভোটাররা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোট শুরুর পর থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে ভোট করা আজমত উল্লা খান, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন, মেয়র পদে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনুর ইসলাম রনিসহ (হাতি প্রতীক) প্রায় সবাই ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এই তিনজন ছাড়াও মেয়র পদের লড়াই আছেন জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল), গণফ্রন্ট্রের আতিকুল ইসলাম (মাছ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান (হাত পাখা), জাকের পার্টির মো. রাজু আহম্মেদ (গোলাপ ফুল) এবং মো. হারুন-অর-রশীদ (ঘোড়া)।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী আছেন।