ফেনীতে পুলিশের মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ১৪ নেতা কারাগারে

পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশে হামলা ও গোলাগুলির পর দলটির ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2022, 12:50 PM
Updated : 3 Oct 2022, 12:50 PM

ফেনীতে পুলিশের করা একটি মামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ইমরান সালেহ তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

এর আগে উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া আগাম জামিনের সময় শেষে হওয়ায় তারা এই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন বলে ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী জানান।

কারাগারে যাওয়া নেতারা হলেন ফেনী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন মাস্টার, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, দাগনভূঞা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ভিপি ইমাম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, দিদারুল আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফজলে রাব্বী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম পাটোয়ারী ইবু, যুবদল নেতা ফজলুল হক মুন্না ও মামুন।

পুলিশের দায়ের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ১২ অগাস্ট ফেনী জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। এ উপলক্ষে শহরের ইসলামপুর রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের দুই থেকে আড়াইশ নেতাকর্মী জড়ো হন।

অভিযোগে বলা হয়, একই দিন ওই স্থানের পাশে ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল করায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওই মিছিলের পেছনের অংশে হামলা করেন। এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।

এ সময় পুলিশ শটগানের গুলিসহ মোট ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, গত ১২ অগাস্ট ফেনী জেলা বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও একটি রাজনৈতিক দলের ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ যৌথ হামলা চালিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের বহু নেতাকর্মীদের মারাত্মকভাবে আহত করে।

“পরে আবার পুলিশ বাদী হয়ে উল্টো বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করে।”

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার পুলিশের কঠোর সমালোচনা করে অবিলম্বে জাতীয়তাবাদী দলের সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।