তিনি সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সমর্থক।
Published : 09 Jan 2024, 06:53 PM
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এক পত্রিকার এজেন্ট ও তার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মণ্ডলের ছেলে মোমিন মণ্ডল বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে জেলার পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান।
তিনি বলেন, “মামলায় বেলকুচি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে থানার পাশাপাশি বেলকুচি সার্কেলের এএসপি ও সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউসুফ আলী সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সমর্থক বলে জানা গেছে।
তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, “পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মণ্ডল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও তার বড় ছেলে কনফেকশনারী ব্যবসায়ী মোমিন মণ্ডল ও ছোট ছেলে বেলকুচি পৌরসভার অফিস সহকারী নাবিন মণ্ডল সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডল বিজয়ী হন।
“সোমবার দৌলতের ছোট ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী ও তার সহযোগীরা। একদিন পর বেলকুচি আদালত পাড়ায় পত্রিকা বিক্রির সময় দৌলতকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন ইউসুফ। এরপর চালার কুদ্দুর কোয়ার্টারে তার ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দৌলত ও তার বড় ছেলে মোমিনকে মারধর করেন ইউসুফ ও তার সহযোগীরা।”
ভুক্তভোগী দৌলত বলেন, “এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সমর্থক ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এন্ট্রি করেন। এরপর সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে মামলা দায়ের হয়।”
এ বিষয়ে আসামি ইউসুফ আলী বলেন, “দৌলতের বড় ছেলে মোমিন ইয়াবা সেবনকারী ও ছোট ছেলে নাবিন সন্ত্রাসী। ভোটের দিন তারা আমার ছেলেকে মারধর করেছিল। সেই জন্য দৌলতের বাড়ি গিয়ে পুলিশের সামনেই তাদের এলাকা থেকে অন্য কোথাও যেতে বলেছি। মামলার বিষয়ে আমি অবগত নই।”