ঈদের ছুটিতে আলুটিলায় ভিড়ছেন দর্শনার্থী

ঈদকে কেন্দ্র করে আরও ৪/৫ দিন সমাগম থাকবে বলে জানান পর্যটন কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক।

সমির মল্লিকখাগড়াছড়িবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2023, 10:06 AM
Updated : 23 April 2023, 10:06 AM

ঈদে দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে আলুটিলায় পর্যটক সমাগম বেড়েছে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অন্তত ৬শ ফুট উঁচু এই পর্যটন কেন্দ্রে রোববার সকাল থেকে ভিড় দেখা গেছে। ঈদের লম্বা ছুটিতে খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের প্রধান গন্তব্য এটি।

রোববার দুপুরে পর্যটন কেন্দ্রের প্রতিটি পয়েন্টে দর্শনাথীদের ভিড় দেখা গেছে। বিশেষত আলুটিলার প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ ঘুরে বেশি রোমাঞ্চিত হয়েছেন এখানে বেরাতে আসারা।

রাজশাহী থেকে আসা নিহা রহমান নামের এক নারী পর্যটক বলেন, “আমরা এবার পাহাড়ে ঈদ করেছি। এখন আলুটিলায় আসলাম, খুবই ভালো লেগেছে। পুরো পরিবার নিয়ে এসেছি। কাল সাজেক যাব। এরপর রাঙামাটি। এতো সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র, না আসলে বুঝতে পারতাম না।”

আরেক পর্যটক নিশাত ফেরদৌস বলেন, “আলুটিলার প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই সুন্দর। এখানে এসে বৃষ্টি উপভোগ করেছি। এর আগেও পাহাড়ে গিয়েছি, তবে খাগড়াছড়ি এবার প্রথম ভ্রমণ। খুব ভালো লেগেছে।”

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে নব নির্মিত ঝুলন্ত সেতু দেখে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। এ ছাড়া দুই পাহাড়কে সংযোগকারী ‘লাভ ব্রিজে’ পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া নন্দন পার্ক, কুঞ্জছায়া সবখানেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।

জামালপুর থেকে বেড়াতে আসা মো. শাহীন বলেন, “ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা মিলে বেড়াতে আসলাম; খুবই ভালো লাগছে। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে কাল সাজেকে যাব।”

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, “আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। গতকাল ঈদের প্রথম দিনে ৩ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছে। আজকে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। সকাল থেকে পর্যটকদের সমাগম বাড়ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আরও ৪/৫ দিন পর্যটক সমাগম থাকবে।”

খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য ছাড় দিচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

এখানকার অভিজাত হোটেল গাইরিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, “ঈদ উপলক্ষে আমাদের প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। বুকিংয়ে এবার পর্যটকদের ২০/৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি।”

এখানকার পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।

তিনি বলেন, “প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে আমাদের কন্ট্রোল রুমে নম্বর দেওয়া আছে। কোনো পর্যটক সমস্যায় পড়লে সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে আমরা সহযোগিতা করব। এছাড়া পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।”