দুদকের মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন এবং আরও এক কর্মকর্তাকে।
Published : 21 Aug 2023, 11:22 PM
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য মো. আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
সোমবার যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন কমিশনের উপ পরিচালক মো. আল আমিন; যাতে তাদের বিরুদ্ধে ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপর দুই আসামি হলেন- যবিপ্রবির উপ পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য কামাল উদ্দিন।
দুদকের উপ পরিচালক আল আমিন যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এদিন মামলা দায়েরের তথ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্যের বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ওই সময়ের উপাচার্য আব্দুস সাত্তার। এ বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন তৎকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও তাদের কাউকে পাস করানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে রউফের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না উল্লেখ করে মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড ১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মামলায় বলা হয়, রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতনভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়।