এক দিনে এল বিজিপির আরও ১৭৯ সদস্য

দুপুরে ২৯ এবং রাতে আরও ১৫০ বিজিপি সদস্য আসেন বলে বিজিবি সদর দপ্তর জানায়।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2024, 03:29 PM
Updated : 11 March 2024, 03:29 PM

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে এক দিনে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিজিপির আরও ১৭৯ সদস্য।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের জামছড়ির ৪৫-৪৬ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ২৯ সদস্য পালিয়ে আসে।

পরে রাত ৮টা পর্যন্ত পালিয়ে এসেছেন আরও ১৫০ জন।

ফলে একদিনে মোট ১৭৯ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী সবার অস্ত্র জমাদানের পর বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১১ বিজিবির অধীন জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের বিজিপির অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে রেখেছে।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়।

তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে এক ইউপি সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

Also Read: আরও ২৯ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে

Also Read: সীমান্তে কথা বলছিলেন ইউপি সদস্য, গুলি এসে লাগল কোমরে

আহত ইউপি সদস্যের নাম সাবের আহমদ। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন সাংবাদিকদের বলেন, “সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সীমান্ত এলাকা জামছড়ি মসজিদের পাশে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করছিলেন সাবের আহমদ। এ সময় সীমান্তের ওপার থেকে আসা একটা গুলি তার কোমরে এসে লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

তবে এ ব্যাপারে বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।