“আন্দোলনে ব্যর্থতা, নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপিকে অনেকদিন খেসারত দিতে হবে।”
Published : 26 Feb 2024, 03:02 PM
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “অবাক লাগে, মির্জা ফখরুল জেল থেকে বের হয়ে অসুস্থতার অজুহাতে জনগণের কাছে গেলেন না। কিন্তু মার্কিন প্রতিনিধি দল দেশে আসায় তিনি ঠিকই হাতে লাঠিভর দিয়ে নালিশ করতে চলে গেছেন।
“নালিশ করা বিএনপির একটি পুরনো অভ্যাস।”
সোমবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা বাজারের জিরো পয়েন্ট এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে শনিবার ঢাকার গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির এক ঘণ্টা বৈঠক হয়।
বিকাল ৩টায় শুরু এ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্য অংশ নেন। সফরকারী তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এতটুকু বলা যাবে। এর বেশি কিছু বলার নেই।
বিএনপির ওই বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “সমালোচনা যারা করবে, তারা দেশেও করবে বিদেশেও করবে। তারা নালিশ করবে জনগণের কাছে, কিন্তু জনগণের কাছে করার চাইতে বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
“যারা ক্ষমতা পায়নি, নির্বাচনে আসেনি, তারা এখন টের পাবে নিজেদের রাজনীতিকে কতটা সঙ্কুচিত করেছে। আন্দোলনে ব্যর্থতা, নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপিকে অনেকদিন খেসারত দিতে হবে।”
বিএনপির সমালোচনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা গলাবাজি করবে, এর জবাব তো আমাদের দিতে হবে। বিএনপির ৫০ হাজার নেতাকর্মী জেলে আছে, এমন উদ্ভট দাবিও তারা করেছিল।
“এখন আবার দাবি করছে তাদের চার হাজার নেতাকর্মী জেলে। তাহলে জেলে থাকা চোর-ডাকাতরাও বিএনপির নেতাকর্মী।”
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “উপজেলা নির্বাচনে আমরা কাউকে নৌকা দিচ্ছি না। অতএব বুঝেশুনে নির্বাচন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ অভিজ্ঞতাও নিতে চান। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না আসলেও, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিলেন। “
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিয়ে সরকারের ভাবনা রয়েছে ঈঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আপাতত ছয় লেন হবে। তবে ভবিষ্যৎ আরও বর্ধিত করার বিষয়ে ভাবতে হতে পারে।
“ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়ক চার লেন হয়েছে। এটি এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি। এলাকাটি অন্ধকার ছিল, এখন সেটি অনেক প্রশস্ত। এ অঞ্চলের মানুষ এমন পরিবর্তনকে গ্রহণ করেছে।”
দাগনভূঞাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতনের সঞ্চালনায় মন্ত্রীর মতবিনিময় সভায় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, দাগনভূঞা পৌর মেয়র ওমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।