“৬ ডিসেম্বর তাকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।”
Published : 05 Dec 2023, 08:18 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
সোমবার নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, “আপনি আবুল কালাম আজাদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১৪২, জামালপুর-৫ (সদর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এর মধ্যে উপজেলার কেন্দুয়া কালিবাড়ী ইউনিয়নের বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, শরীফপুর ইউনিয়নের শরীফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী স্কুল মাঠে বিশাল গাড়ি বহর ব্যবহার করে, গরু জবাই করে ভুঁড়িভোজের আয়োজন করেছেন।
“৪ ডিসেম্বর তুলশীরচর ইউনিয়নের টিকরাকান্দি মাঠে গরু জবাই করে ভুঁড়িভোজের আয়োজন করেছেন। বর্ধিত সভার জনগণের মাঝে উপস্থিত হয়ে আপনার পক্ষে জনপ্রতিনিধিগণ ভোট চেয়ে থাকেন, এসব কার্যক্রম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১০ (চ), ১১ (ঙ) এবং বিধি ১২ এর বিধান লঙ্ঘনের শামিল।”
এসব বিষয়ে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ কেন নির্বাচন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
এজন্য ৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, প্রথম আদালত) প্রার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
জামালপুরের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আবুল কালাম আজাদকে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। ৬ ডিসেম্বর তাকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিটি।”
৪ ডিসেম্বর বিকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর পক্ষ থেকে তার নির্বাচন সমন্বয়কারী ইকরামুল হক নবীন।
এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চিঠি পেয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বর্ধিত সভা করা হচ্ছে এবং ভোট চাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
“কর্মীরা কীভাবে ভোট চাইবে, কী কী বলে ভোট চাইবে, এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”
তাদের আচরণবিধির ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে, এটি কোনোভাবেই ভোট চাওয়া নয়। আর অন্য কিছু হয়েছে কি-না তা নজরে আসেনি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: