“নির্বাচনি আচরণবিধির বিষয়ে নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আচরণবিধি ভঙ্গের কিছু হচ্ছে না।”
Published : 04 Dec 2023, 08:20 PM
জামালপুর-৫ (সদর) আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এর কয়েক ঘণ্টা পর তার বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু।
রেজাউল ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক এবং জামালপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজনু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
কিন্তু এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে।
রেজনুর পক্ষে লিখিত অভিযোগটি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান বরাবর জমা দিয়েছেন তার নির্বাচনি সমন্বয়কারী ইকরামুল হক নবীন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জামালপুর-৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন। এরই মধ্যে আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, শরীফপুর ইউনিয়নের শরিফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী স্কুল মাঠে বিশাল গাড়ি বহর এবং গরু জবাই করে ভুঁড়িভোজের ব্যবস্থা করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
সোমবার বিকালে আবুল কালাম আজাদ বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে তুলশীর চর ইউনিয়নের টিকরাকান্দি মাঠে উপস্থিত হন এবং গরু জবাই করে ভুঁড়িভোজের আয়োজন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতারা বর্ধিত সভার নাম করে আবুল কালাম আজাদকে জনগণের মাঝে উপস্থিত করে তার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। এসব জনসভায় কতিপয় জনপ্রতিনিধি তার পক্ষে ভোট চেয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
এ ব্যাপারে রেজাউল করিম রেজনুর নির্বাচনি সমন্বয়কারী জামালপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি ইকরামুল হক নবীন বলেন, “আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলীয় সভার নামে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে যাচ্ছেন।”
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনি আচরণবিধির বিষয়ে নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো কিছু হচ্ছে না।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, “অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”