Published : 04 Dec 2022, 10:31 PM
পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলায় আলোচিত ঋণ খেলাপী কৃষকের গ্রেপ্তারের বিষয় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি পাবনা গিয়েছে।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ডিজিএম (পরিদর্শন) মো. আহসানুল গণির নেতৃত্বে তিন সদস্যে এই কমিটি পাবনা আসে।
শহরের এসেই তারা এলএমবি মার্কেটে পাবনা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেড কার্যালয়ে যান।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপ-ব্যবস্থাপক (পরিদর্শন ও আইন) মো. আব্দুর রাজ্জাক ও সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রকল্প ঋণ) মো. আমিনুল ইসলাম রাজীব।
এরপর বিকালে তারা পাবনা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী জসিম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় পাবনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মো. বিশ্বাস রাসেল বলেন, বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নলেজে রয়েছে; সুদ মওকুফ করার কথাও বলেন; বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে বলে সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ডিজিএম আহসানুল গণি জেলা প্রশাসককে জানান।
আহসানুল গণি জানান, তারা আগামীকাল সকাল ১০টায় ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ঋণ খেলাপী সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পল্লি প্রকল্প ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের সঙ্গে ঋণ প্রদান, আদায় ও পরিশোধ সংক্রান্ত প্রমাণ সম্পর্কিত সকল তথ্য পর্যলোচনাপূর্বক তদন্ত করবেন।
পরে ঢাকায় গিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাবনা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবেন বলে জানান।
গত ২৮ নভেম্বর এই তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে বলে সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থক ও প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা ঝর্ণা প্রভা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পাবনার ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারী উত্তরপাড়ার ৩৭ জন কৃষক ঋণ নিয়ে খেলাপী হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরায়ানা জারি হয়। এরপর ১২ কৃষককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয় এবং বাকি ২৫ জন গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকাছাড়া হন।
বিষয়টি নিয়ে দেশে সমালোচনার মধ্যে তাদের জামিন দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: