বেটলিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোট পড়েছে ১২টি।
Published : 07 Jan 2024, 10:19 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটির ২১৩টি কেন্দ্রের আটটিতে কেউ ভোট দেয়নি। এছাড়া আরও তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ১২টি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা ও কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাহাড়ের প্রভাবশালী আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল। সংগঠনটি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘ভোট বর্জন সফল’ করায় পাহাড়ের বাসিন্দাদের অভিনন্দনও জানিয়েছে।
ভোট না পড়া আট কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি বাঘাইছড়ির এবং তিনটি কাউখালী উপজেলার।
বাঘাইছড়ি উপজেলার কেন্দ্রগুলো হলো সাজেক ইউনিয়নের তুইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মোট ভোটার ১,৯৮১), ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মোট ভোটার ২,১২৯), নিউলংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মোট ভোটার ২,২৪৩), শিয়ালদাহলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মোট ভোটার ৫৮৩) এবং বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মোট ভোটার ৩,১৯২)।
কাউখালী উপজলোর পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। পানছড়ি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২০২৬, বর্মাছড়ি কেন্দ্রে ১৬৬৫ ও নাভাঙ্গা কেন্দ্রে মোট ৭৭৫ ভোট ছিল।
দুই উপজেলার এ আট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট দিতে যায়নি কোনো ভোটার।
এছাড়া সাজেকের আরও তিন কেন্দ্র – বেটলিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৬টি, কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩টি এবং মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩টি।
বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলফাজ উদ্দিন বলেন, “আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রটি দুর্গম। এ কেন্দ্রের ভোটার ৩ হাজার ১৯২ জন। নিয়ম অনুসারে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু করে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ের মধ্যে কোনো ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। কেন বা কীজন্য আসেনি আমরা জানি না।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একটি অচেনা নম্বর থেকে আমাকে জানানো হয়, তারা ভোট বর্জন করেছে, তাই কেউ আসবে না। কে বা কারা বর্জন করেছে, তা আমি জানি না। পরিচয় জানতে চাইলে কিছু বলেনি।”
বাঘাইছড়ির সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, “এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ ছিল না, কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তাই আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।”
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, “আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ-এর প্রভাবের কারণে ওই কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। আমরা ওইসব এলাকায় প্রচারও করতে পারিনি।”
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী বলেন, উপজলোর পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। ওই তিন কেন্দ্রে কোনা প্রার্থীর এজেন্টও ছিল না।
পানছড়ি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২০২৬, বর্মাছড়ি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৬৬৫ ও নাভাঙ্গা কেন্দ্রে মোট ভোটার ৭৭৫।
বাঘাইছড়ি উপজেলার মোট ভোটার ৭৬ হাজার ৩৮৩ জন। এই নির্বাচনে ৪৫ হাজার ৬০৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, যা মোট ভোটের ৫৯.৭১ শতাংশ। এর মধ্যে নৌকার দীপংকর তালুকদার পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৭ ভোট। অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের অমর কুমার দে ৩৪৭ এবং তৃণমূল বিএনপির মিজানুর রহমান পেয়েছেন ১৬৪ ভোট।