খুলনায় ৮ কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস বিএনপির

বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো চিঠিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2023, 02:57 PM
Updated : 2 June 2023, 02:57 PM

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় আট জনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো চিঠিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে বলে খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা জানান।

চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা কোনো প্রার্থী দেয়নি।

খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটির নির্বাচন এখনও বাকি আছে। আগামী ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন হবে সিলেট ও রাজশাহী সিটির নির্বাচন।

শফিকুল আলম মনা বলেন, গত ২৯ এপ্রিল খুলনা নগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় খুলনা সিটি নির্বাচনে দলের কোনো নেতা-কর্মী অংশ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি কোনো প্রার্থীর পক্ষে তারা প্রচারণাও চালাতে পারবেন না।

নির্বাচনে কারো অংশ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিএনপির এ নেতা জানান।

নোটিস পাওয়া নেতারা হলেন- ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান কাকন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব কায়সার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফজলুল কবীর টিটো, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের আলী মিন্টু, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা এ কে এম মোসফেকুস সালেহীন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও নগর বিএনপির সাবেক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন।

সাজ্জাদ হোসেন তোতন বলেন, “আমি নির্বাচন থেকে সরব না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।”

আশফাকুর রহমান কাকন বলেন, দলের পক্ষ থেকে শোকজ করা হবে, এটা তারা জানতেন। তবে শোকজের চিঠি এখনও তিনি হাতে পাননি।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চিঠি পাওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় নন। এরই মধ্যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শমসের আলী মিন্টুর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। আপিল করেও তিনি প্রার্থিতা ফেরত পাননি। মিন্টু বছর দেড়েক আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেন।

সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মাজেদা খাতুন ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মাহবুব কায়সারও এক বছর আগে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তারা বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান দুই বছরের বেশি সময় ধরে দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। দলে তার কোনো পদপদবি নেই। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিএনপি তাকে সমর্থন দিয়েছিল।

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন

গাজীপুর শেষে ভোটের লড়াই এবার খুলনা ও বরিশালে  

খুলনা সিটি নির্বাচন: দলীয় প্রতীক নিয়েই লড়বেন ৪ মেয়র প্রার্থী  

খালেক ও মধুর ভোট নিজের টাকায়, ধার-দানে আউয়াল ও সাব্বিরের  

বহিষ্কারের ঝুঁকি নিয়েই খুলনায় ভোটে বিএনপির নেতাকর্মী, আছে জামায়াতও