যৌতুকের দাবিতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
আগুনে ওই গৃহবধূর শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার দুপুরে উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার (২০) চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মো. ইউসুফের মেয়ে। তার স্বামীর নাম মো. রাসেল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে মুজাহিদপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে মো. রাসেলের সঙ্গে নাজমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাসেলকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেন নাজমার পরিবার।
এর মধ্যে সোমবার অটোরিকশা কেনার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা আনতে নাজমাকে বাবার বাড়ি পাঠান রাসেল। শনিবার দুপুরে নাজমা টাকা ছাড়া ফিরে এলে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙতে থাকেন রাসেল। এতে বাধা দিলে নাজমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
এ সময় বাড়ির লোকজন নাজমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে বাধা দেন রাসেল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইস্তিয়াক হোসেন বলেন, আগুনে নাজমার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফোসকা পড়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হতে পারে বলে জানান তিনি।
ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।