প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবু সাইয়িদের গাড়িবহর বেড়া সিএন্ডবি বাজার এলাকায় গেলে ‘নৌকা মার্কার শ্লোগান’ দিয়ে একদল ব্যক্তি তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
Published : 19 Dec 2023, 04:48 PM
পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইয়িদের নির্বাচনি প্রচারে বাধা ও তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে দায়ী করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা নির্বাচনি এলাকা সাঁথিয়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে আবু সাইয়িদ অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে আবু সাইয়িদ বাড়ি থেকে কয়েকটি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে বের হন। এ সময় তার সঙ্গী হন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের ভাই বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন।
তাদের গাড়িবহর বেড়া সিএন্ডবি বাজার এলাকায় গেলে ‘নৌকা মার্কার শ্লোগান’ দিয়ে একদল ব্যক্তি তাদের অবরুদ্ধ করে। সেখানে গাড়িবহরে থাকা লোকজনকে ‘চর থাপ্পর’ ও ‘কিল-ঘুষি’ মারার ঘটনা ঘটে।
সেখান থেকে বেলা ১টার দিকে তাদের গাড়িবহর সাঁথিয়ার বোয়ালিয়া বাজারে গেলে আবারও বাধার মুখে পড়ে। এ সময় সাইয়িদ তার লোকজনকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে একটি দোকানে আশ্রয় নেন; সেখানেই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
পরে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং সাথিয়া উপজেলার ইউএনও আলপনা ইয়াসমিন গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আবু সাইয়িদ বলেন, “ভোটের প্রচারণার শুরুতেই আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক এবং তার ছেলে বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনসহ তাদের সমর্থকরা আমাকে পদে পদে বাধা দিচ্ছে।
“সকালে সিএনবি মোড়ে আমার গাড়িবহর আটকে নেতাকর্মীদের মারধর করে তারা। এতে আমার ৫-৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন। পরে আমি বোয়ালিয়া বাজারে পৌঁছালে সেখানেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।”
ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ থাকলেও তারা ‘নিরব ভূমিকা’ পালন করছেন বলেও অভিযোগ আবু সাইয়িদের।
তিনি বলেন, “শামসুল হক ও তার ছেলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক এটা চায় না, ফলে তারা এ ধরণের কাণ্ড ঘটাচ্ছে।”
যদিও অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামসুল হকের মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
সাথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা পরিবেশ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। আপাতত এর বেশি কিছু বলার নেই।”
আর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বলছেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। প্রার্থীরা তাদের মত করে প্রচারণা চালাতে পারবেন।”