পুলিশের ধারণা, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে।
Published : 19 Feb 2024, 11:31 AM
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় শৌচাগার থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘট্নায় নিহতের স্বামী-ছেলে ও দুই পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানিয়েছেন।
নিহত হেরোনা বেগম (৬৩) ওই গ্রামের হায়দার আলী প্যাদার স্ত্রী।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের হায়দার আলী প্যাদা, পুত্র সুমন প্যাদা (৩২) পুত্রবধূ রাখি বেগম (২৫), তুলি বেগমকে (২৭) আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শক মো. হেলালউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘরের পাশে শৌচাগার থেকে ওই বৃদ্ধার ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তখন বৃদ্ধার দুই হাটু ভাঁজ করা ছিল। মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাতের জখম রয়েছে।
বোনকে তার পুত্রবধূরা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধার ভাই মনির হোসেন সিকদার।
বৃদ্ধার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে পরির্দশক হেলালউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি এজহার দিয়েছেন।
মনির হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, প্রায়ই তার বোন হেরোনা বেগমকে সৌদি প্রবাসী ভাগ্নে ইলিয়াস প্যাদার স্ত্রী রাখি বেগম, ছোট ভাগ্নে সুমন প্যাদা ও স্ত্রী মিতু শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। পাঁচদিন আগেও তারা বোনকে মারধর করে।
মনির আরও বলেন, “গত সোমবার দুই ভাগ্নি আমার বোনকে দেখতে আসে। এ সময় দুই পুত্রবধূ আমার বোন ও দুই ভাগ্নিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন।“
মনির আরও অভিযোগ করেন, “এ নিয়ে রাতে আমার বোনের সঙ্গে দুই পুত্রবধূর ঝগড়া হয়। তারাই পাটার শীল দিয়ে বোনের মাথায় আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আমার বোনের মৃত্যু হয়। তখন বাড়ির পাশে একটি বাথরুমে লাশের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।”
মঙ্গলবার সকালে হেরোনা বেগম আত্মহত্যা করেছে জানিয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে।
এ বিষয়ে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারমিন সুলতানা রাখী জানান, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ০৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]