১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
Published : 28 Oct 2023, 11:09 PM
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ ধরায় ১৪৩ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ ও টাস্কফোর্স।
গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে শনিবার দুপুরে জানিয়েছেন চাঁদপুর সদর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, অভয়াশ্রম এলাকা থেকে ইলিশ ধরার সময় ১০৪ জেলে আটক করে নৌ পুলিশ। তাদের কাছ থেকে সাত লাখ ৫৯ হাজার মিটার কারেন্টজাল, ৫৭৪ কেজি ইলিশ এবং ৩৩টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪২ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, আট জেলেকে ৩৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, ১৬ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকী ৩৮ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
ওসি আরও বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ, জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ, কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস এবং জব্দ করা নৌকা থানা হেফাজতে রয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানের তথ্য জানিয়েছেন সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অভিযানে আটক ৩৯ জনের মধ্যে ১০ জনকে এক মাস ও ২৮ জনকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম নিগার সুলতানা। আটক একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযানে জব্দ করা ৬০ কেজি ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ এবং ৫০ হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মো. মেহেদী হাসান, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা। এতে সহযোগিতা করেন নৌ পুলিশের একাধিক দল ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ, পরিবহন ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।