পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
Published : 09 Apr 2024, 10:08 PM
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় এক মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের হাটকড়ই সার্বজনীন মহাশ্মশান কালীমাতা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম।
গ্রেপ্তার ফয়সাল করিম রেজা (৩৫) হাটকড়ই স্কুলপাড়া এলাকার খোরশেদ আলম টুকুর ছেলে। তিনি কিছুদিন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে লোকজন মন্দিরের মেঝেতে প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেন। সবাই এ ঘটনার বিচার দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রশিদ, সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওমর আলী, নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দেন। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের বাবা খোরশেদ আলম টুকু দাবি করেন, তার ছেলে দুই বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কিছুদিন আগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। মানসিক সমস্যা হওয়ায় বাড়িতে চলে আসেন।
তিনি বলেন, “আমার ছেলে অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার হোক।”
তবে গ্রেপ্তার যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন নন বলে দাবি করেছেন হাটকড়ই মহাশ্মশানের উপদেষ্টা অরুণ জ্যোতি।
কমিটির সভাপতি সুমন চন্দ্র পাল বলেন, “এলাকার সব ধর্মের মানুষ ওই যুবকের শাস্তি চায়। এখানে ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ নেই। মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”
কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, “হাটকড়ই এলাকায় কাছাকাছি মসজিদ ও মন্দির। হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে উৎসব পালন ও বসবাস করেন। দুই ধর্মের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভালোবাসার এই সেতুবন্ধনের দৃষ্টান্ত ধরে রেখেছে। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।”
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম বলেন, “হাটকড়ই এলাকায় কাছাকাছি মসজিদ, মন্দির ও মহাশ্মশান। সব ধর্মের শান্তিপূর্ণ সেতুবন্ধন রয়েছে। মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের মামলায় একজনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওসি।