প্রতারণা মামলায় এনজিও কর্মকর্তা সস্ত্রীক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার মাসুদ রানা ইন্তা নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র বানান বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 06:48 PM
Updated : 18 August 2022, 06:48 PM

মানিকগঞ্জে এনজিও খুলে গ্রহকদের টাকা আত্মসাতের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এসপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানান জেলা সিআইডির বিশেষ এসপি মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী।

বুধবার ময়মনসিংহ শহরের একটি বিউটি পার্লার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শানবান্দা এলাকার মো. মাসুদ রানা ইন্তা (৪৩) ও তার স্ত্রী মোসা. লিলি বেগম (৩৫)।

সিআইড কর্মকর্তা জানান, ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ সদরের বালিরটেক ফেরিঘাট এলাকায় গ্রামীণ সংস্থা ও গ্রামীণ শক্তি নামের দুটি এনজিও প্রতিষ্ঠান ঋণ দেওয়া ও গ্রাহকদের আমাতন সংগ্রহের কাজ শুরু করে। পরে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতরণা করায় ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা ইন্তা ও তার স্ত্রী লিলি বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান মানিকগঞ্জ সদর থানায় করেন। মামলার পর মাসুদ রানা ও তার স্ত্রী পালিয়ে যান। এরপর ২০১৯ সালে মানিকগঞ্জের সিআইডিতে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়।

মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম বুধবার ময়মনসিংহ শহর থেকে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মেয়াদে সাতটি মামলায় ১৪ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২১টি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা গ্রেপ্তারি আছে। মামলার সাজা থেকে বাঁচতে ময়মনসিংহে গিয়ে মাসুদ রানা ইন্তা তার নাম পরিবর্তন করে সাজেদুল ইসলাম নামে জাতীয় পরিচয়পত্র বানান এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মানিকগঞ্জের সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন, মো. আলী আক্কাছ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আনারুল ইসলামসহ ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।