জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে একদল শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, “শিফট পদ্ধতির মাধ্যমে মেধার বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই পরীক্ষা কোনো জুয়া খেলার আসর নয় যে এখানে দৈব চয়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। এতে মেধার চরম অবমূল্যায়ন হয়। এ কারণে আমরা শিফট পদ্ধতি বাতিল চাই।”
শিফট পদ্ধতি বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন সৌমিক।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, “আমাদের মূল দাবি হলো, এক প্রশ্নপত্র ও এক মেধাতালিকায় ভর্তি পদ্ধতি চালু করা। সেইসঙ্গে বৈষম্যমূলক শিফট পদ্ধতি অবিলম্বে বাতিল করা।”
প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে একটি অভিন্ন প্রশ্নে সহজেই পরীক্ষা নেওয়া যায় বলে মনে করেন কনোজ।
তিনি বলেন, “কিন্তু তা না করে ভর্তি-বাণিজ্যে নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর জন্যই কর্তৃপক্ষ বৈষম্যমূলক শিফট পদ্ধতি এখনও চালু রেখেছে।”
এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের নেতৃত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।
আগামী ১৬ থেকে ২৪ জুন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এখনও তা চূড়ান্ত নয়।