শীত আসতেই রাস্তার পাশে ও অলিগলিতে পিঠার দোকান বসছে।
Published : 05 Dec 2022, 11:26 AM
কুয়াশা আর শিশিরের সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীত জেঁকে বসেছে শেরপুরে। এতে এ জনপদের ছিন্নমূল ও গরিব মানুষে দুর্ভোগও শুরু হয়েছে।
ঘন কুয়শার কারণে সামান্য দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছেনা। ফলে অনেক বেলা পর্যন্ত যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সেই সঙ্গে রাতে ও ভোরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো ঝড়ছে শিশির। চরাঞ্চল ও সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশায় সোমবার সকালে প্রাতভ্রমণে বের হয়েছিলেন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা হানিফ উদ্দিন। শীত কেমন উপভোগ করছেন জানতে চাইলে বলেন, “সামনে পৌষ মাস আসছে। অগ্রায়হণ মাসেই শীত ও কুয়াশা একটু বেশি পড়ছে আমাদের শেরপুর এলাকায়।
“সামনে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। গরিব ও অসহায় মানুষদের যেন সরকার শীত বস্ত্র দেয় এটাই কামনা করি।”
শীতের সঙ্গে যেমন ঠাণ্ডা জনিত রোগ বালাই বাড়ছে। তেমনি ঠাণ্ডায় কাজে না পারায় সংসারের চাকা ঘুরছে না নিম্ন আয়ের মানুষের।
সকালে শেরপুর শহরের শেরী ব্রিজ এলাকায় হোটেল শ্রমিক আসাদ মিয়া বলেন, “আজ কুয়াশা ও শীত একটু বেশি পড়েছে। ঠাণ্ডায় মানুষের অবস্থা কাহিল। অনেকেই কাজ-কর্মে যেতে পারছে না।”
সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার বাসিন্দা ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মোহাম্মদ সুলেয়মান মিয়া বলেন, “বাইরে খুব ঘন কুয়াশা। দূরের কোনো কিছু দেখা যাইতাছে না।”
একই উপজেলার নামা শেরীর চর গ্রামের কৃষক আলী আকবর বলেন, “সামানে পৌষ মাস আইতাছে শীতটা আরও বেশি পড়বো। এই শীতে মানুষের খুউব কষ্ট হইতাছে। ঠাণ্ডার কারণে বের হতে পারতাছি না। আবার কাজে না গেলে সংসারও চলে না।”
শহরের শেরীপাড়া এলাকায় পথচারী রফিক মিয়া বলেন, “এমন কুয়াশা পড়ছে যে, পাঁচ আত আড়ে আড়েও দেহা যাইতাছে না কোন কিছু।”
শেরপুর জজ কোর্ট চত্বরের চা দোকানের শ্রমিক পাকুরিয়ার চক পাড়াগ্রামের মনির (২৪) বলেন, শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হয়। মাত্র ৩০০ টাকা বেতনে গরম কাপড় কেনাও সম্ভব না।
এদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে ও অলিগলিতে শীতের ভাপা ও চিতই পিঠার দোকান বসছে। পিঠার দোকানগুলোতে সকাল ও সন্ধ্যায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে।