জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অটোরিকশার নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে ২৭ ঘণ্টা পর রাঙামাটি শহরের একমাত্র যান অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়েছে।
রোববার সকালে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সবাইকে সেই নির্দেশনা মোতাবেক যানবাহন চলানোর নির্দেশ দেন।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, শহরের অভ্যন্তরীণ অটোরিকশার ভাড়া আট টাকার স্থলে ১০ টাকা, ১২ টাকার স্থলে ১৫ টাকা এবং ২৪ টাকার স্থলে ৩০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ঘোষণার পর শনিবার থেকে জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম কার্যকর হয়। বাসের জ্বালানি ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা হয়েছে। ছোট গাড়ি ও মোটর সাইকেলের জ্বালানি পেট্রোল ও অকেটেনের দাম যথাক্রমে বেড়েছে ৪৪ ও ৪৬ টাকা।
এরপর জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে ভাড়ার সমন্বয়ের দাবিতে শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাঙামাটি শহরে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয় মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। পূর্বঘোষণা ছাড়াই যানবাহন চলাচল বন্ধে ভোগান্তিতে পড়েন শহরবাসী।
এই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এই জরুরি সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রবীণ সংবাদিক সুনীল কান্তি দে বলেন, শহরে লাইসেন্সবিহীন চালক ও গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যেকোনো ঘটনায় হুট করে সিএনজি বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলা হচ্ছে। এ কারণে শহরের বিকল্প পরিবহন প্রয়োজন। প্রতিটি চালকের পরিচয়পত্রসহ পোশাক নিশ্চিতের দাবিও জানান তিনি।
রাঙামাটির পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, শহরে অবৈধ সিএনজির কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সিএনজিগুলোতে কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা কিছুই বের করতে পারি না। তাই চালকের পরিচয় নিশ্চিত করা জরুরি। পোশাকের প্রয়োজন হলে পৌরসভা থেকে দেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাঙামাটি শহরে একমাত্র অভ্যন্তরীণ পরিবহন অটোরিকশা হওয়ায় আমাদের সবাইকে সে বিষয়ে বিবেচনা করে কাজ করতে হবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। আমাদের একে অন্যের কথা বিবেচনা করতে হবে এবং সুবিধা-অসুবিধা বুঝতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, রাঙামাটি অটোরিকশা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু।
আরও পড়ুন: