কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবেশী এক বৃদ্ধাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত কোহিনূর বেগম (৬০) রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দৌলতপুর উপজেলার দাড়েরপাড়া গ্রামের ছফের মালের স্ত্রী তিনি।
পাঁচ বছরের সাজার পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ মে সকালের দিকে কোহিনূর বেগমের প্রতিবেশীর ছেলে আরাফাত হোসেন বাড়ির সামনে খেলা করার সময় নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর কোহিনূর বেগমের বাড়ি রান্নাঘর থেকে শিশুটির পচা-গলা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে সময় কোহিনূর বেগমকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আরাফাতের বাবা শরিফুল ইসলাম।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনূর বলেন, তার বাড়ির আঙিনা দিয়ে যাওয়ার সময় আরাফাত বেখেয়ালে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যায়। অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে পানি ঢেলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন ওই বৃদ্ধা।
তার ভাষ্য, আরাফাতের জ্ঞান না ফেরায় তিনি ভয় পেয়ে যান এবং আরাফাতকে রান্না ঘরে শুইয়ে রাখেন।
তদন্ত শেষে দৌলতপুর থানার এসআই অরুণ কুমার দাস ২০২১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, “মামলার শুনানিকালে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সে কারণ ঘটনাটিকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় বিবেচনায় না নিয়ে ৩০৪ ধারায় অবহেলা হিসেবে বিবেচনা করে এবং আসামির বয়স বিবেচনা করে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।”