দু’পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধেই হত্যা-ডাকাতিসহ একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 06 Apr 2024, 10:58 AM
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ হামলা চালিয়ে একজনের পা ও আরেকজনের হাত কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষ; পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণ হারিয়েছেন পা কাটায় আহত ব্যক্তি।
এ হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরেকজন।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বদরখালী ফেরিঘাটের দক্ষিণে টুটিয়াখালী রাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
নিহত ফজলে হাসান রিয়াদ (২৯) চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের মগপাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম ওরফে লম্বা ফরিদ ডাকাতের ছেলে। হামলায় তার ডান পা গোড়ালি পর্যন্ত কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।
হামলায় বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয় মোহাম্মদ ছোটন ওরফে ছোটইন্না চোরার (৩০)। তিনি বদরখালী ইউনিয়নের আহমদ কবিরঘাটা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বদরখালী ইউনিয়নের মাতারবাড়ী পাড়ার মোহাম্মদ বারেকের ছেলে মো. জিদান।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি আলী বলেন, বদরখালী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নজরুল ও বাহাদুরের সঙ্গে রিয়াদ ও ছোটনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে প্রায়ই দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে চলতো হামলা ও পাল্টা হামলা।
দু’পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা আছে। হামলায় নিহত রিয়াদ ডাকাতিসহ একাধিক মামলার ও আহত ছোটন একটি হত্যা মামলায় আসামি।
“দুই বছর আগে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন খুন হন। এতে রিয়াদ ও ছোটনসহ তাদের লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলায় ছোটনসহ তাদের পক্ষের অনেকে আসামি। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল।“
ওসি বলেন, “শুক্রবার রাতে বদরখালী বাজারে রিয়াদ, ছোটনসহ আরও কয়েকজন অবস্থান করছিল। এসময় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
“এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ছোটনের এক হাত এবং রিয়াদের এক পা কেটে ফেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের পক্ষের অপর একজন। ”
হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসক দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
তাদের চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মোহাম্মদ আলী।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারপরও ঘটনার কারণ জানার পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।