বিআইডাব্লিউটিএ ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, “বিগত বছরগুলোতে এমন যাত্রী ছিল যে, ঘাটে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকতো না। তবে এবার যাত্রী সংখ্যা খুবই কম।”
Published : 09 Apr 2024, 12:30 AM
ঈদের ছুটিতে আগের বছরগুলোতে রাজধানীর সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে লঞ্চ আসতো। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। ফলে যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।
স্বাভাবিক সময়ের মত যাত্রী নিয়ে আধা ঘণ্টা পর পর লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাটে ভিড়ছে। ঈদ উপলক্ষে এই পথে ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে অবস্থান করে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোনার তরী, ময়ুর-২, এমভি মিতালী-৭ এবং বোগদাদিয়া লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা খুবই কম দেখা গেল।
অপরদিকে চাঁদপুর ঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে যাত্রীর অপেক্ষায় আব-এ জম জম-৭ অপেক্ষমাণ দেখা যায়।
এমভি মিতালীর যাত্রী এবং চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম খান বলেন, “অন্য বছর এই সময়ে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা থাকতো অনেক। সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে চাঁদপুরে এসেছি। তবে এবারের লঞ্চযাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে।”
ঢাকা থেকে সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছেন মতলব দক্ষিণের যাত্রী ফাহিমা বেগম। তিনি বলেন, এবারের যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। কোনো কষ্টই মনে হয়নি।
ঢাকায় বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন শরীফ হোসেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে। তিনি বলেন, লঞ্চে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব সময় ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বাড়িতে যান। তবে এবার লঞ্চে কোনো ভিড় নেই, ভাড়াও আগের মত।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, “বিগত বছরগুলোতে এমন যাত্রী ছিল যে, ঘাটে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকতো না। তবে এবার যাত্রী সংখ্যা খুবই কম।
“আগামীকাল (মঙ্গলবার) যদি যাত্রী বেশিও থাকে তাতে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া আর কোনো ধরনের সমস্যা নেই।”
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুপুরে লঞ্চঘাট পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি যাত্রী ও অটোরিকশা চালকদের মাঝে সতর্কতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, “ঈদে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো যাতে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, কোনো ধরনের ডাকাতি কিংবা অন্য ঘটনার শিকার না হয়, সেজন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে।
“আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। ঘাটে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীরা কোনো ধরননের হয়রানির অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো”, বলেন পুলিশ সুপার।