১৪ দিন পার হলেও নীলফামারীর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার শিহাব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হলেও হত্যাকারী ও হত্যার কারণ এখনও অনুদ্ঘাটিত।
নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইটাখোরা সরকারপাড়া গ্রামের এরশাদুল হকের ছেলে ১১ বছর বয়সী শাহরিয়ার শিহাব।
সে গত ৪ মার্চ সন্ধ্যা দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সন্ধ্যায় নীলফামারী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সিহাবের বাবা।
এর তিন ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে একটু দূরে একটি সেচ নালা থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর ৬ মার্চ সন্দেহভাজন তিন প্রতিবেশীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শিহাবের বাবা এরশাদুল হক।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- ময়নুল ইসলাম (৩৫), নাজমুল হক বুদাউ (৪৫) ও সুরত আলী (৬০)।
তাদের মধ্যে ময়নুল ও নাজমুল এবং হাসেন আলী (২৪) নামে অপর এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাসেন সেচ নালায় মরদেহ দেখে সিহাবের স্বজনদের জানিয়েছিলেন।
মামলার বাদী এরশাদুল হক বলেন, “ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ একাধিকবার আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিবারের অন্য সদস্যসহ এলাকার অনেকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। আমরা এখন উদগ্রীব, আসল খুনির চেহারা দেখার জন্য।”
নিহতের দাদা আতিয়ার রহমান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “অনেক দিন হয়ে গেল, খুনিকে এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। কেন হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং প্রকৃত খুনি চিহ্নিত হচ্ছে না তা নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি আমরা।”
নিহতের চাচা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ বলেছিল, দ্রুত খুনিকে খুঁজে বের করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করবে। কিন্তু ১৪ দিনেও তা করতে পারেনি তারা।”
মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে আছেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, “মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে প্রথমে গ্রেপ্তার ও পরে সন্দেহভাজনের তালিকায় প্রথম লাশ শনাক্তকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই তিনজনকে ইতোমধ্যে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।
“পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী, নিহত শিশুর সহপাঠীর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দেখার কার্যক্রম চলমান আছে। মামলাটি থানা পুলিশ ছাড়াও পিবিআই, সিআইডি, ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। সব তথ্য-উপাত্ত মিলে আমরা শিগগিরই আসল খুনি শনাক্তের খবর দিতে পারব।”
আরও পড়ুন: