মারুফ বলেন, “১৩ অগাস্ট আমার ফেইসবুক আইডি হ্যাক হয়।”
Published : 19 Aug 2023, 06:17 PM
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর যশোর জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জেলা কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেনকে বহিষ্কার করার তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “সংগঠনের নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট স্থায়ী বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে।”
তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে মারুফ হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেটা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস শনিবার বলেন, “সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মারুফকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
১৯৭১ সালে পিরোজপুরের পারেরহাটে নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত সাঈদী মারা যান গত ১৪ অগাস্ট। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের এই দোসরের মৃত্যুতে তার দল জামায়াত ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক শোক জানাতে থাকেন।
ছাত্রলীগের পদধারী বহু নেতাও শোক প্রকাশ করলে সংগঠনের মধ্যেই প্রশ্ন উঠে। সমালোচনার মুখে বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অব্যাহতি ও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জেলা কমিটি কেবল সাময়িক বহিষ্কার করতে পারে। চূড়ান্ত বহিষ্কারের ক্ষমতা কেবল কেন্দ্রীয় কমিটির।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, মারুফ হোসেনের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সাঈদীর ছবি সংবলিত একটি সংবাদ কার্ড শেয়ার করা হয়। একই সঙ্গে সাঈদীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এরপর যশোরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকে সেটির সমালোচনা করে মারুফের বহিষ্কারের দাবি করেন। তবে কয়েক ঘণ্টা পর ছাত্রলীগ নেতা মারুফ সেই পোস্ট মুছে ফেলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হোসেন বলেন, “১৩ অগাস্ট আমার ফেইসবুক আইডি হ্যাক হয়। পরে আমার বন্ধুরা জানান, হ্যাককৃত আইডি থেকেই সাঈদীকে নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
“গতকাল রাতে আমার আইডি ফিরে পেয়েছি। এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাতে জিডিও করেছি”, বলেন মারুফ।