ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে শৈলকুপা থানায় মামলাটি দায়ের করেন ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রতন চন্দ্র কুন্ডু।
মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ৬-৭ কিলোমিটার দূরে বগুড়া ও রত্নাট গ্রামে।
পার্শ্ববর্তী বগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ফরিদ মুন্সিকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকে প্রথমে চায়ের দোকানদার দেব কুমারের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং মারধর শুরু করে।
সার ব্যবসায়ী বিকাশ মন্ডল লাঙ্গলবাঁধ বাজার থেকে ফিরছিলেন। তার কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। তাকেও মারধর করে।
এরপর হামলাকারীরা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে।
মামলার বাদী রতন চন্দ্র কুন্ডু বলেন, মাঝেমাঝে সন্ত্রাসীরা এ গ্রামে এসে চাঁদা দাবি করে। না পেয়ে বকাবকি করে। চাঁদাবাজির কারণে এ হামলা হয়েছে।
সোমবার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ঘটনাস্থলে যান। তিনি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং ভীত না হওয়ার পরামর্শ দেন।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, এ মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
রোববার রাতে কামারিয়া গ্রামে একদল লোক আটটি হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের হামলায় নারীসহ ১৫ জন আহত হয়।