তাদের বিরুদ্ধে ভোটারদের হুমকি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন দেওয়াসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।
Published : 27 Dec 2023, 09:41 PM
কুষ্টিয়ায় নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সংসদ সদস্য, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান, দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আসাফ-উদ-দৌলা স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিস কুষ্টিয়া-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম সওয়ার জাহান বাদশাকে পাঠানো হয়েছে বলে ওই আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম জানান।
তিনি জানান, প্রকাশ্যে জনসভা করে সাধারণ ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার হুমকির অভিযোগে সংসদ সদস্যকে নোটিস পাঠানো হয়।
আগামী শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুসন্ধান কমিটি প্রধানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে বাদশাকে অভিযোগের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলেও সরওয়ার জাহান কল রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল আরও জানান, এছাড়া কুষ্টিয়া-৩ আসনে নির্বাচনি প্রচারে বাধা, হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি, হামলা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিয়ে সেখানে নৌকার ক্যাম্প স্থাপনের অভিযোগে কুষ্টিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মুহাম্মদ মাযহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিসে আ্গামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তার কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে অভিযোগের লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিস দেওয়া অন্যরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া মাছপাড়া আস্তানগর গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কিরামত আলী বিশ্বাস, একই এলাকার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী মেহেদী হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামন, ঝাউদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সাবাতুল্লাহ মালিথার ছেলে চাঁদ আলী মালিথা, হাতিয়ার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ আমান এবং ৯ নম্বর ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সামসুর রহমান বাটুল।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা বলেন, “নোটিস পেয়েছি, আগামীকাল নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব দিব।”
সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্সী মেহেদী হাসান নোটিসের পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তিনিও বৃহস্পতিবার কমিটির কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগের লিখিত জবাব দেবেন।
একইভাবে নোটিস পাওয়া অন্যরাও জবাব দিতে অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে হাজির হবেন বলে জানান।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামানকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।