পাবনা জেনারেল হাসপাতালে সহকর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন ইন্টার্ন নার্সরা।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। এ সময় ইন্টার্ন নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ আট দফা দাবি জানান তারা।
ইন্টার্ন নার্সদের পক্ষে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের জেলা সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, মঙ্গলবার সাদ্দাম নামে বহিরাগত এক দালাল জেনারেল হাসপাতালের রোগীর কাছে ইসিজির জন্য নির্ধারিত ফি ৮০ টাকার বিপরীতে ৬০০ টাকা নেয়। এ সময় ইন্টার্ন নার্স রাজা প্রতিবাদ করলে, সাদ্দাম তাকে বেধড়ক মারপিট করে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ও সাদ্দামের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন নার্সরা।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাদ্দামের গ্রেফতারসহ আট দফা দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন নার্সরা।
ইন্টার্ন নার্সদের দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত সাদ্দাম ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার, হাসপাতালে নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দালাল চক্র বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নার্সদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, অবহেলা না করে নার্স বলে সম্বোধন করা, দালালের মাধ্যমে ইসিজিসহ অন্য যেকোনো যন্ত্রপাতি হাসপাতালে প্রবেশ না করা, হাসপাতালের আয়া, ওয়ার্ড বয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নির্দিষ্ট ড্রেসকোড মেনে চলা।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর জানান, ঘটনাটি শোনার পর নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হাসপাতালে বহিরাগতদের দৌরাত্ম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মারধরের ঘটনায় নার্সদের পক্ষে থানায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।