বাসটি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছার পরও মেয়েটিকে না নামিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কিছুদূর সামনে নিয়ে নামানো হয়।
Published : 01 Aug 2023, 01:53 PM
ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের বাসের যাত্রী মাদ্রাসা পড়ুয়া ১৩ বছরের এক শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাসের সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার বিকালে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রচেষ্টা পরিবহনের সুপারভাইজার আসিফ সরদার (২২), চালকের সহকারী (হেলপার) রাকিব মাতুব্বর (২৪) ও তার মা লিলি বেগম (৫০)।
শিশুটির দুলাভাই জানান, তার শ্যালিকা ঢাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। হাজারীবাগে একটি ভাড়া বাসায় তাদের সঙ্গেই থাকে সে।
“রোববার বিকালে আমার শ্বশুরবাড়ি নগরকান্দায় যাওয়ার জন্য বাবুবাজার থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে তাকে উঠিয়ে দেই। ভাঙ্গায় আমার শ্বশুর তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।”
মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও তার মেয়ে ভাঙ্গায় না পৌঁছানোয় মেয়ের মোবাইল ও বাসের হেলপার, সুপারভাইজারের মোবাইলে ফোন দিলেও বন্ধ পান। খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে রাতে পুলিশকে জানানো হয়।
ভাঙ্গা থানার এসআই জুয়েল বলেন, রোববার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ অভিযানে নামে।
এরপর সোমবার সকালে প্রচেষ্টা পরিবহনের বাসটির সুপারভাইজার আসিফকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্য মতে হেলপার রাকিবের বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
এসআই জুয়েল বলেন, প্রাথমিক জ্জ্ঞিাসাবাদে জানা যায়, বাসটি ভাঙ্গায় পৌঁছার পরও মেয়েটিকে না নামিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কিছুদূর সামনে নিয়ে নামানো হয়। সেখান থেকে তাকে রাকিবের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মনির বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।