এদিকে ভারতের গজলডোমা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
Published : 18 Feb 2024, 08:32 AM
ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথ্যাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। লালমনিরহাটের দোয়ানীতে নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার খবর জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী বেষ্টিত বিভিন্ন এলাকায় বন্যার সতর্কতা জানিয়ে মাইকিং ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
তিস্তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অন্য নদীর পানি; এতে লালমনিরহাটসহ নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের গজলডোমা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে; যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে লালমনিরহাটের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা নাগাদ সেখানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।
এদিকে পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যার আশঙ্কায় তিস্তা, ধরলা ও সানিয়ারজান নদী লাগোয়া বাসিন্দাসহ উপজেলার সকল বাসিন্দাকে বন্যার সতর্কবার্তা দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা নদী লাগোয়া তিন গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) উত্তম কুমার নন্দী জানান, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে বন্যার আগাম প্রস্ততি হিসেবে ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ০৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]