‘ভালো পরিবেশে’ ভোট দিয়ে জায়েদা বললেন, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী

সবাইকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এই প্রার্থী।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2023, 05:02 AM
Updated : 25 May 2023, 05:02 AM

ভোটের পরিবেশ ভাল এবং সবাইকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী জায়েদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ঢাকার লাগোয়া এ সিটি করপোরেশনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে নগরীর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট দেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, “ইনশাল্লাহ ভোটের পরিবেশ ভালো। এইভাবে যদি ভোট হয় তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আপনারা সবাইকে ভোট দিতে ডাকেন।

ইভিএম নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই জানিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, “আমার কাছে ভালো লাগছে।”

ভোটের পরিবেশ নিয়েও কোনো অভিযোগ নেই বলে জানান জায়েদা খাতুন।

এ সময় জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে কিছু কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যদিও পরে তারা কেন্দ্রে গেছে। তাদের ভয় দেখানো হয়েছে খবর পেয়েছি।

“গাজীপুরের মানুষ আমার মাকে টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।”

তবে কোন কেন্দ্রে এজেন্টদের বাধা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি জাহাঙ্গীর।

গাজীপুরের এবারের ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান রয়েছেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

বিএনপি এবার দলীয়ভাবে মাঠে নেই। তবে সরকার শাহনুর ইসলাম রনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, যার বাবা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। চাচা হাসানউদ্দিন সরকার ২০১৮ সালের ভোটে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছিলেন, শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলমের কাছে।

বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে জাহাঙ্গীরকে দলীয় পদ হারাতে হয়েছিল, মেয়াদপূর্তির আগেই ছাড়তে হয়েছিল মেয়র পদ। নির্বাচনের আগে দলের ক্ষমা পেলেও তিনি নির্বাচনে মনোয়ন পাননি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় আওয়ামী লীগ তাকে আবারও বহিষ্কার করেছে। আর নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে ঋণ খেলাপি কোম্পানির জামিনদার হওয়ার অভিযোগে।

জাহাঙ্গীরের একটি কৌশল অবশ্য কাজে লেগেছে। নিজের সঙ্গে মায়ের জন্যও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। তার মা জায়েদা খাতুনের প্রার্থিতা টিকে যাওয়ায় তিনি এখন মেয়র পদের প্রার্থী।

সব মিলিয়ে দলীয় প্রতীকে পাঁচজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর এ ভোটে শেষ পর্যন্ত ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনার কথাই বলছে সবাই।