পুলিশ জানায়, রাঙামাটিতে দিন ও রাতের জন্য আলাদা মোটরসাইকেল চোর রয়েছে।
Published : 08 Apr 2024, 04:46 PM
রাঙামাটিতে দিনে ও রাতে আলাদা দুটি চোর চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
রোববার পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় চট্টগ্রামের মো. ওমর ফারুক ওরফে তারেককে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তারা।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমির হোসেন, রাঙামাটির রীতিময় চাকমা, নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার মো. জুয়েল রানা, চট্টগ্রামের মো. এরশাদ।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মুহাম্মদ আলী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পাচ্ছিলাম, রাঙামাটিতে মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হই। অভিযানে চোরদেরও আটক করি।
“গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে এবার রাঙামাটি থেকে চোরাই চারটি মোটরসাইকেলসহ পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চুরির অভিযোগে মো. শহীদ ও সাহেদ নামে দুজনের বিরুদ্ধে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় ইতোমধ্যে পাঁচটি মামলা রয়েছে। প্রথমে তাদের গ্রেপ্তার করি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে চোর চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”
তার দাবি, রাঙামাটিতে দিন ও রাতের জন্য আলাদা মোটরসাইকেল চোর রয়েছে। রাঙামাটির ছেলে রীতিময় দুটি চক্রকেই সহায়তা করেন।
রাঙামাটিতে কর্মরত উন্নয়ন কর্মী এনামুল হক শান্ত বলেন, “গত ২৬ মার্চ শহরের হ্যাপির মোড় এলাকায় মোটরসাইকেল সড়কের পাশে রেখে ধোয়া কাপড়গুলো ইস্ত্রির জন্য লন্ড্রির দোকানে দিয়ে ৩-৪ মিনিট পর ফিরে দেখি, আমার মোটরসাইলটি নাই।”
পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমাকে অনেকে বলেছিল, এই গাড়ি আর পাওয়া যাবে না। তাদের কথায় আশা ছেড়ে দিই। গতকাল রাতে থানা থেকে ফোনে মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের খবর শোনার পর অবাক হই! এতো দ্রুত উদ্ধার করা হলো আমার মোটরসাইকেল। আমি রাঙামাটি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।”
আবু বক্কর ছিদ্দিক নামে আরেকজন বলেন, “আমি খুব শখ করে মোটরসাইকেল কিনি প্রায় ৭ মাস আগে। গত ৪৫ দিন আগে বাসার সামনে থেকে রাতে আমার শখের গাড়িটি চুরি হয়ে যায়। কোতোয়ালি পুলিশকে ধন্যাদ জানাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমার মোটরসাইলেটি উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য।”