মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় আট বছরের এক শিশুকে হত্যার দায়ে তার সৎ মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ খালেদা ইয়াসমিন উর্মি আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান।
দণ্ড পাওয়া সুমাইয়া আক্তার উপজেলার শিয়ালদি গ্রামের আরিফ হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার পাউসার গ্রামের মোন্নাফ মোল্লার মেয়ে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির নাম মো. ইয়াছিন। তার বাবা আরিফ হোসেন সেনাবাহিনীর সদস্য।
মামলার বরাতে পিপি সিরাজুল বলেন, “২০১৭ সালের ১১ জুন সকাল পৌনে ৯টার দিকে ইয়াছিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেন সুমাইয়া।”
পরে এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী আরিফ বলেন, “আগের স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর সুমাইয়াকে বিয়ে করি। তবে আগের ঘরের সন্তান ইয়াছিনকে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতাম। বিয়ের সাত মাসের মাথায় কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় খবর পাই ইয়াছিন পানিতে ডুবে মারা গেছে।
“বাড়িতে ফিরে সুমাইয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। কয়েকদিন পর কৌশলে তাকে জিজ্ঞেস করতেই সে ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করি।”
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান পিপি সিরাজুল।
অপর একটি ধারায় আসামিকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান।