চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরার অপরাধে ৩৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার সকালে চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, শনিবার সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকা থেকে এসব জেলেদের আটক করা হয়। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২২ জনকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ছয় জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং পাঁচ অপ্রাপ্তবয়স্ক জেলেকে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. হযরত আলী (২২), মরণ আলী (৩৫), জনি (২০), সুমন (৩৫), মো. জালাল (৩৫), ছাদেক (৫০), তাজুল ইসলাম মাঝি (৪০), আবদুল করিম হাওলাদার (৩৫), আমান উল্যাহ মাঝি (২০), জীবন মাঝি (২২), কাউছার মাঝি (২২), শাওন মাঝি (২০), নাজমুল হাসান (১৯), মো. সেলিম মাঝি (৫১), আ. হাকিম মাঝি (২৫), নূর মোহাম্মদ (৩৫), রায়হান (১৮), রুবেল বেপারী (২০), সুফিয়ান তালুকদার (৩৫), মো. ফারুক খান (২০) আল-আমিন (১৮), মো. হাসান (২২)।
মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন- মনছুর গাজী (৩১), হাসান গাজী (২৫), শাহাদাত মাঝি (২০), সাইফুল মিয়া (২৩), শাহীন হাওলাদার (১৯), নাজমুল আখন (২০)।
অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের বয়স আট থেকে ষোলো বছরের মধ্যে।
আটক জেলেদের বাড়ি চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানান ওসি মো. কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, অভিযানকালে ৫০ হাজার মিটার সুতার জাল, ১২ লাখ এক হাজার ৩০০ মিটার কারেন্টজাল, ৪টি মাছ ধরার নৌকা ও ১১৭ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
ওসি বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জব্দৃকত জালের মধ্যে এক হাজার ২০০ মিটার কারেন্ট জাল মামলার আলামত হিসেবে রেখে বাকী জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
“চারটি নৌকার মধ্যে তিনটি নৌকা তলা ছিদ্র করে অকার্যকর করা হয় এবং একটি নৌকা মামলার আলামত হিসেবে নৌ-থানা হেফাজতে রাখা হয়। জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।”
জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।