“প্রশাসন যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করে, তাহলে আমরা শনিবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দেব।”
Published : 21 Feb 2024, 06:39 PM
শহীদ মিনারে ফুল দিতে বাধা দেওয়ায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এবং বিচার দাবিতে শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান নেয়।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মকর্তাদের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সম্প্রতি সংগঠনটির সদস্যরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। এদের একটি পক্ষ পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে নতুন একটি সংগঠন তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।
এর মধ্যে বুধবার সকালে প্রভাত ফেরি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্টার ফুল দেওয়া শেষ করেন। তারপর এক এক করে বিভিন্ন বিভাগ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দেয়।
সবার শেষে পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ফুল দিতে আসেন। এ সময় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা তাদের ফুল দিতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
দীর্ঘ সময় ধরে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা চলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ছাড়া প্রক্টর এ ঘটার সুষ্ঠু বিচারে আশ্বাস দিলে শহীদ মিনার চত্বর ছেড়ে যান পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের একটা সংগঠন থাকবে। সেখানে প্রশাসনের সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য নাম মাত্র একটা সংগঠন খোলা হয়েছে। যার কোনো বৈধতা নাই। যেহেতু এই সংগঠনের কোনো বৈধতা নেই, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই আমরা বাধা দিয়েছি।
“ওই কর্মকর্তাদের ফুল না দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসনকে আগেই অবগত করেছি। যদি প্রশাসন আগেই ব্যবস্থা নিত, তাহলে আমরা তাদেরকে বাধা দিতাম না।”
পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জিএম শামসাদ ফখরুল বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের যে কোনো সংগঠন খোলার অধিকার আছে। কর্মকর্তা পরিষদ সংগঠনে নানা অনিয়মের কারণে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি।
“আজকে আমরা ফুল দিতে গেলে তারা আমাদের পুষ্পস্তবকে থাকা সংগঠনের নামসংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। এবং এক নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসন যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করে, তাহলে আমরা শনিবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দেব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, “আমরা কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। উপাচার্যকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।“
আগামীতে দুটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখবে বলে আশা করেন তিনি।